Up next


পীর ধরা কি জায়েজ?দোজখে বেশী ভাগ অধিবাসি কেন মহিলা?জাকির নায়েক।Zakir Nayek Allahar Rastay 2021.

2 Views
Play2Box
12
Published on 01/March/23 / In Islamic Videos

পীরের কাছে মুরীদ হওয়া কি ফরজ?
কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী ফরজ বিধান দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ (সুব:)। ইরশাদ হচ্ছে:
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ অর্থ: "বিধান দিবার অধিকার আল্লাহরই।"(সূরা ইউসুফ ১২:৪০)
আল্লাহ (সুব:) আরও ইরশাদ করেছেনঃ
أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ অর্থ: "জেনে রেখো সৃষ্টি এবং বিধান তাঁরই।"(সূরা আরাফ ৭:৫৪।)
পীর-সূফীদের আক্বীদাহ হলো পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ। যেমন চরমোনইয়ের পীর সাহেব 'মাওয়ায়েজে এসহাকিয়া' নামক কিতাবে বলেন: 'পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ'। তিনি আরও বলেন, 'যদি কারো দুইজন পীর হয় তবে দুই পীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন। কোনই ক্ষতি নাই।' ('মাওয়ায়েজে এছহাকিয়া' সৈয়দ মা:মো: মোমতাজুল করীম রচিত: পৃষ্ঠা নং: ৫৫-৫৬ ) এছাড়া তিনি আরও বলেন: 'যার কোন পীর নাই তার পীর শয়তান।' এজন্য তারা একটি আরবী বাক্য তৈরী করেছে যাতে সাধারণ মানুষের আরবী দেখে এটাকে কুরআন-হাদীস মনে করে বিনা আপত্তিতে মেনে নেয়। সে বাক্যটি হলো: مَنْ لَيْسَ لَهٌ شَيْخٌ فَشَيْخُه شَيْطَانٌ অর্থ: "যার কোন পীর নাই তার পীর শয়তান।" ('ভেদে মারেফাত বা ইয়াদে খোদা' মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রচিত: পৃষ্ঠা নং: ২৩।)
এ আরবী বাক্য শুনে অনেকেই এটিকে হাদীস বলে বিশ্বাস করে অথচ এটি কোন হাদীস নয় পীর-সূফীদের মনগড়া একটি বাক্য মাত্র। পীরদের যতগুলো সিলসিলা রয়েছে প্রায় সকলের আক্বিদাই এরকম । যেমন চরমোনাই পীরদের আক্বিদাহ তাদের বই থেকে উপরে উল্লেখ করা হলো।

এনায়েতপুরী পীর ও তার অনুসারীদের আক্বীদাহ-বিশ্বাসও একই রকম। তাদের রচিত কিতাব 'শরীয়তের আলো' নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, 'পীর ধরা সবার জন্য ফরজ'।( 'শরীয়তের আলো' খাজা বাবা এনায়েতপুরী সাহেবের অনুমোদন ক্রমে মাওলানা মো: মকিম উদ্দিন প্রণীত। প্রকাশক পীরজাদা মৌ: খাজা কামার উদ্দিন (নুহ মিয়া)।)

সুরেশ্বরী পীর লিখেছেন: 'পীরের নিকট দীক্ষিত না হইলে কোন বন্দেগী কবূল হয় না।'(নুরে হক গঞ্জে নুর, পৃষ্ঠা নং ২৫, সুরেশ্বর দরবার এর পক্ষে সৈয়দ শাহ নূরে মঞ্জুর মোর্শেদ (মাহবুবে খোদা) ও ভ্রাতাগণ কর্তৃক প্রকাশিত, একদশ সংস্করণ ১৯৯৮।)

ভায়া মাধ্যম:
আল্লাহ (সুব:) পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন মানুষ যত বড় পাপ ও গুনাহ করুক না কেন যদি তারা খাঁটি মনে আল্লাহর কাছে তওবা করেন তবে আল্লাহ (সুব:) অবশ্যই তাকে ক্ষমা করে দিবেন। এজন্য কোন ভায়া মাধ্যমের প্রয়োজন নাই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ (সুব:) ইরশাদ করেন:

وَمَنْ يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَحِيمًا

অর্থ: "আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি যুলম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (সুরা নিসা: ১১০)

এখানে সরাসরি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোন প্রকারের ভায়া মাধ্যমের কথা নেই। আল্লাহ (সুব:) আরও ইরশাদ করেন:

قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

অর্থ: "বল, 'হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"(সুরা যুমার ৩৯:৫৩।)

কিন্তু পীর-মাশায়েখগণ বলেন, বান্দা অসংখ্য গুনাহ করলে পীরের মাধ্যম ছাড়া আল্লাহ (সুব:) মাফ করতে চান না। যেমন: চরমোনাইয়ের পীর বলেন: 'বান্দা অসংখ্য গুনাহ করার ফলে আল্লাহ পাক তাহাকে কবুল করিতে চান না। পীর সাহেব আল্লাহ পাকের দরবারে অনুনয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দোয়া করিবেন, যাহাতে তিনি কবুল করিয়া নেন। ঐ দোয়ার বরকতে আল্লাহ পাক তাহাকে কবুল করিয়া নেন।' ('ভেদে মা'রেফাত বা ইয়াদে খোদা' মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এসহাক রচিত, পৃষ্ঠা নং ৩৪।)

তাদের এই বক্তব্য স্পষ্ট কুরআনের আয়াতের পরিপন্থি। ছোট বেলায় একটি কৌতুক শুনেছিলাম এক লোক শয়তানকে জিজ্ঞাসা করেছিলো; ওহে শয়তান! এক লোক সারা জীবন অন্যায় করেছে, পাপ করেছে এখন সে বৃদ্ধ বয়সে এসে তওবা করেছে আর কখনো গুনাহ করবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তুমি তাকে কিভাবে গোমরাহ করো? শয়তান হেসে বললো, এতো খুবই সহজ বিষয়। আমি তাকে বুঝাই তুমি সারা জীবন অন্যায় করেছ, পাপ করেছ। পাপ করতে করতে সীমালঙ্ঘন করেছ। তোমাকে আল্লাহ (সুব:) এইভাবে ক্ষমা করবেন না বরং তোমাকে একজন পীর ধরতে হবে। ঐ পীর যদি তোমার জন্য অনুনয়-বিনয় করিয়া আল্লাহর কাছে তোমার জন্য ক্ষমা চান তাহলেই কেবলমাত্র তুমি ক্ষমা পাইতে পার। এভাবে বুঝাইয়া-সমঝাইয়া তাকে একজন পীর ধরাইয়া দেই। এরপরে আমার বাকী কাজ ঐ পীর সাহেবই আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। এটি একটি কৌতুক। এর কোন বাস্তবতা জানা ছিল না। কিন্তু চরমোনইয়ের পীর সাহেবের 'ভেদে মারেফাত বা ইয়াদে খোদা' নামক বই পড়ার পরে শয়তানের এই অভিনব কৌশলের বাস্তব দলীল পাওয়া গেল।

সংগ্রহিত।ঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=490441300986441&id=447778618586043

Show more
0 Comments sort Sort By

Up next